টানা বৃষ্টিতে বর্ধমান পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন

27th July 2021 11:47 am বর্ধমান
টানা বৃষ্টিতে বর্ধমান পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : সোমবার চার ঘন্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন বর্ধমান পৌরসভার বেশকয়েকটি ওয়ার্ড। শহরের ৪ , ৭ , ১৬ , ২১ ,২  ও ১  নম্বরের বেশ কিছু জায়গার মানুষ সমস্যার মধ্যে রয়েছে গতকাল রাত থেকে। শহরের নোংরা জল নিকাশির জন্য সাবজোলা খাল চার নম্বর ওয়ার্ডের উপর দিয়ে গেছে। এই সাবজোলা খালের জলথেকেই চার নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন সমস্যার মধ্যে পড়েছে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে সাবজোলা খাল পরিস্কার না হওয়ার কারণে কোথাও কোথাও কোমর জল জমে গেছে। একপশলা বৃষ্টিতেই এই এলাকায় একহাটু জল জমে জায়। গতকাল দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার ফলে সমস্যা আরও ভয়াবহ হয়েছে।বার বার প্রসাশনকে জানিয়েও কোন ফল হয়নি। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা এসে আস্বস্ত করেন,  কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। গতকালের বৃষ্টিতে প্রায় দুশো বাড়িতে এক কোমর করে জল জমে গেছে।  এলাকায় বেশ কিছু মাটির বাড়ি আছে,  বেশি সমস্যার মধ্যে পরেছে এই সকল পরিবারগুলি। যেকোনো মূহুর্তে বাড়ি ভেঙে পরার আশঙ্কা করছেন তারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ত্ব ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক তথা এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন,  এই ঘটনা নিয়ে একাধিক বার জেলা প্রসাশনকে জানানো হয়েছে।  খুব শীঘ্রই হয়তো সমস্যা মিটবে। বেশ কিছু মানুষকে স্থানীয় স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।  তাদের খাবার ও ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এলাকা পরিদর্শনে এসে বর্ধমান দক্ষিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস জানান, বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমেছে। আমি সবকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করছি। সমস্যার কথা শুনছি,  প্রয়োজন মত সমাধান করা হবে। সাবজোলা খাল প্রসঙ্গে তিনি জানান, এবিষয়ে বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির সাথে কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সাবজোলা খাল পরিস্কার করা হবে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।